Publish Date: 15 Aug 2023 09:05:03 PM
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাবিপ্রবি প্রধান কার্যালয় ও স্থায়ী ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
সকাল ১১ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ হতে শোক র্যালী আয়োজন করা হয়, র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দীপংকর তাকুদার ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবন এর সম্মেলন কক্ষে “বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ও তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ” শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর ১৫ই আগস্ট ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে শহাদাত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন, আলোচক হিসেবে রাবিপ্রবি’র সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর জুয়েল সিকদার এবং সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ধীমান শর্মা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেন, “বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। তিনি সারাটি জীবন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য কিভাবে পরিবর্তন হবে সেজন্য কাজ করেছেন। পৃথিবীর অনেক হত্যাকান্ড হয়েছে কিন্তু কোন হত্যাকান্ডে অবলা নারী, গর্ভবতী নারী,মাসুম শিশু হত্যাকান্ডের টার্গেট ছিলনা! ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম ও জঘন্যতম হত্যাকান্ড গুলোকে ছাপিয়ে গেছে! বঙ্গবন্ধুর রক্ত যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে এজন্য খুনীরা বেছে বেছে তাঁর পুরো পরিবারকে হত্যা করেছিল!
প্রধান আলোচক হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশকে ভৌগলিক মুক্তি এনে দিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন এ জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে হত্যা করে খুনিরা তাঁর দৈহিক সত্ত্বাকে কেড়ে নিয়েছে কিন্তু তাঁর স্বপ্নকে মারতে পারেননি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের ধমনী ও হৃদয়ের স্পন্দন।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন অসাধারণ নেতা। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা তাঁর রাজনীতি ও জীবন আদর্শকে অর্থবহ করে তুলেছিল। কিন্তু এদেশের কতিপয় বিপদগামী ষড়যন্ত্রকারীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। অথচ তারা জানেনা বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
জনসংযোগ দপ্তর
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়